OrdinaryITPostAd

মাথা ন্যাড়া করার উপকারিতা ও অপকারিতা

মাথা ন্যাড়া করার উপকারিতা ও অপকারিতা

ছোট কাল মাথা ন্যাড়া করার প্রভাব যে সবার ছিলোনা এই কথা বলা যাবে না। আমাদের দেশে এই কথা প্রচলন রয়েছে যে মাথা ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয়। শুধুমাত্র এই একটা ভ্রান্ত ধারণার মাধ্যমে অনেকেই ছোটকাল থেকেই মাথা ন্যাড়া করার অভ্যাস তা করে ফেলেছেন অবশ্যই । 

সূচীপত্রতবে আমরা আজকে মাথা ন্যাড়া করার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অর্থাৎ মাথা ন্যাড়া নিয়ে আদ্যোপান্ত বলার চেষ্টা করবো সঙ্গে থাকবেন বন্ধুরা । 

মাথা ন্যাড়া করলে কি নতুন চুল গজায়

এখনো আমাদের দেশে এই রীতি চালু আছে বা ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে যে মাথা ন্যাড়া করলে নতুন চুল গজায়। অনেকের মনে এই প্রশ্ন রয়ে গেছে আবার অনেকে অনলাইনে এসে এই প্রশ্নের উত্তর খুজেঁন । 

তাদের জন্যে আমাদের কিছু কথা। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, মানুষের মাথায় যে চুল গুলি থাকে সেগুলি গুলি হলো ডেট চুল। যা আমরা কেটে ফেলে দিই। এতে করে নতুন চুল গজানো বা চুলের ঘনত্ব হওয়ার সাথে কোন যোগ সাজোস নেই । চুলের ফলিকলের ছিদ্রের সংখ্যার কোন ব্যতিক্রম হয় না ।


কারণ চুলের যে অংশ থেকে চুল গজায় তা চামড়ার নিচে রয়ে যায় । তাই এই ভ্রান্ত ধারণা ফেলে দিয়ে পরন্তু আপনার চুলকে আরো সজ্জিত করুন এবং যত্ন করুন তাতে আপনার সুন্দর্য  আরো বৃদ্ধি পাবে । 

মাথা ন্যাড়া করার পর চুলের যত্ন

চুল মানুষের শরীরের সুন্দর্যের প্রধান প্রতীক। এই চুলের সুন্দর্যের জন্যে অনেক টাকা মানুষ অনায়াসে খরচ করে থাকেন। তাই অনেকে চুলের যত্নের জন্যে মাথা ন্যাড়া করে আবার সুন্দর করে চুল যত্ন নেওয়ার জন্যে বিভিন্ন রকম পদ্বতি গ্রহণ করে থাকে। তার মধ্যে শ্যাম্পু, তেল এবং অনেক রকম কৃত্রিম ক্যামিকেলের মাধ্যমে । 

আমাদের তরফ থেকে পরামর্শ থাকবে সর্বপ্রথমে এই বিভিন্ন রাসায়নিক ক্যামিক্যাল থেকে আগে নিজেকে দূরে রাখুন। এই সব ক্যামিক্যাল আপনার ক্ষতি ছাড়া লাভ করবে বলে আমাদের মনে হয় না। উল্টো আপনি বিপদগ্রস্ত হবেন বলে আমি মনে করি । 


এবার আসি কিভাবে যত্ন নেবেন তা নিয়ে। দেখুন আপনার মাথার চুল যত্নে থাকবে আপনার মাথার ত্বক কে ভাল ভাবে যত্ন নিতে পারলে আপনার চুলের অর্ধেক যত্ন হয়ে যাবে।  আমাদের মাথার চুল পড়ে যায় বিশেষ করে মাথার ত্বক ঘামে বা ময়লা জমে ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার তৈরী হয় এবং এই কারণে আমাদের চুল পড়ে যায় । 


তাই আগে ন্যাড়া মাথার ত্বক সুস্থ করে তুলুন। তার জন্যে আপনি ভাল করে সাবান দিয়ে আপনার ন্যাড়া মাথার ত্বক কে পরিষ্কার করুন। আপনার মাথাকে বিভিন্ন রকম ধুলা ময়লা থেকে রক্ষা করুন। আর বেশি পরিমানে ঘামলে তা বাসায় এসে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে পারেন । 


ভেষজ তেল ব্যবহার করতে পারেন অথবা ভাল মানের নারিকেল তেল আপনার চুলের যত্নে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তারপর পেয়ারা পাতার তেল বানিয়ে তা ন্যাড়া মাথায় দিতে পারেন বা হালকা হালকা চুল গজালে তাতে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে চুল ও সুন্দর থাকবে এবং আপনার মাথার ত্বক ও পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যবান হবে । 

আরও পড়ুনঃ চুলের যত্নে পেয়ারা পাতার ব্যবহার

মেয়েদের মাথার চুল ন্যাড়া করার উপকারিতা

মাথার চুল ন্যাড়া করার জন্যে বেশিরভাগ দেখা হয় পুরুষদের। আমাদের বর্তমান সমাজে মেয়েদের মাথা ন্যাড়া করে ফেললে ওই মেয়েকে আর সুন্দর রূপে দেখে না। আবার ছেলেদের ক্ষেত্রে ও মানুষ ভাল চোখে দেখে না। কিন্তু আমরা বলব মেয়েদের মাথার চুল ন্যাড়া করার উপকারিতা রয়েছে অনেক প্রকার। যদিও মানুষ ভিন্ন চোখে দেখে থাকতে পারেন । 

মাথা ন্যাড়া করার উপকারিতা ও অপকারিতা

  • মেয়েদের মাথার চুল ন্যাড়া করলে চুলের সাজগুজের জন্যে যে সময় দেওয়ার দরকার ছিল তা থেকে বেঁচে যায় । 
  • খরচের দিকে থাকলে অনেক খরচ থেকে বেঁচে যায়। যেমন শ্যাম্পু, তেল বা কন্ডিশনার আরো অনেক রকম বিউটি প্রোডাক্ট থেকে ।
  • আরো গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে গরম কালের জন্যে বেশি শান্তি উপভোগ করতে পারেন ।

মাথা ন্যাড়া করার পর করণীয়

আমরা অনেকে মাথা ন্যাড়া করি কেবল মাত্র এলোমেলো চুল এবং অযত্নে লাল হয়ে যাওয়া এবং ধুলাবালি মাখা হয়ে যাওয়ার কারণে। অনেকে মনে করেন মাথা ন্যাড়া করে চুল ফেলে দিয়ে আবার পুনরায় চুলের যত্ন নেওয়া যাবে। তাই এই মাথা ন্যাড়া করার পর করণীয় এই প্রশ্ন করে থাকে। সেই ক্ষেত্রে আমরা কিছু টিপস আপনাকে দিতে পারি। এতে করে আপনার চুল সুন্দর্য থাকবে এবং চুল পড়া রোধ করবে। 

  • মাথা ন্যাড়া করার পর প্রতিদিন আপনি মাথার ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। সাবান দিয়ে ধুয়ে ভেষজ তেল ব্যবহার করতে পারেন। 
  • মাথা ঘামলে যতাসম্ভব ধুয়ে ফেলুন। কারণ ঘামে জমে মাথার ত্বকের ক্ষতি করতে পরে। 
  • ভিটামিন ই যুক্ত খাবার খেতে পারেন এবং সাথে ভিটামিন ই যুক্ত ফল খেতে পারেন। 
  • পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম জান। 
  • যতটুক পারবেন টেনশন মুক্ত থাকবেন। 

মাথা ন্যাড়া করার উপকারিতা

  • গরমে অশান্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং ভাল ঘুমের যোগান দেয় । 
  • বাতাসের মাধ্যমে ভিবিন্ন রকম জীবাণু আমাদের চুলে আটকে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়  । যেমন চর্মরোগ । 
  • সূর্যের আলো ন্যাড়া মাথার ত্বকে কোন জীবানু আসতে দেয় না এবং ভাল অক্সিজেন পাই । 
  • আমাদের মাথায় যে খুশকির সমাহার হয় তা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন অনায়াসে ।
  • আবার কম বয়সের অর্থাৎ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে চুল ঘন হয় এবং তা কিন্ত আহামরি বেশি নয় । 

মাথা ন্যাড়া করার অপকারিতা

মাথা ন্যাড়া করলে সূর্যের আল্ট্রা ভাইয়োলেট রশ্নি আপনার মাথায় প্রবেশ করার মাধ্যমে আপনার মাথা ব্যথা লাগতে পারে । 


যে কোন কিছুর সামান্য আঘাতে মাথায় এক্সিডেন্ট হতে পারে যা আগে আপনার চুল প্রোটেক্ট করতো। 

ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আঘাতের ফলে ব্রেনের উপর আঘাত আসতে পারে ।


তাছাড়া অনেকে মনে করে থাকে ছোট ছেলেদের মাথার চুল ঘন ঘন ন্যাড়া করে দিলে হয়ত তাড়াতাড়ি গজাবে বা চুল ঘন হবে। তা কিন্তু মোটেই নয়। কারণ এই চুলের অবস্থা নির্ণয় করে

বংশগত জিনের উপর ।

আপনার জন্যেঃ গর্ভাবস্থায় সজনে পাতার উপাকারিতা

ন্যাড়া মাথায় চুল গজাতে কতদিন সময় লাগে

মাথা ন্যাড়া করা এটি একটু ভুল তথ্য। কারণ আপনি যদি কোন পরোক্ষভাবে সুবিধা ভোগ করার জন্যে মাথা ন্যাড়া করে ফেলেন তাহলে তা অন্য বেপার। যদি চুল বেশি গজানোর জন্যে কিংবা চুলের ঘনত্বের জন্যে মাথা ন্যাড়া করে থাকেন তাহলে তা ভুল । 


কারণ আমাদের চুলের নির্দিষ্ট একটি বয়স বা সময় থাকে যেভাবে একজন মানুষের থাকে ঠিক তেমন করে। তাই মানুষ জন্মানোর সময় ১ লক্ষ বা ১ লক্ষের কিছু বেশি ফলিকল নিয়ে জন্মায়। চুলের বীজ নিয়ে জন্মায় এর চেয়ে বেশি আর মাথায় চুল গজায় না । 


এই ফলিকলের উপর ভিত্তি করে আপনার মাথার চুল গুলি বৃদ্ধি পায় । এই ফলিকল যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে চুল গজাতে বিঘ্ন ঘটে । কিন্তু স্বাভাবিক ভাবে মানুষের ন্যাড়া মাথায় চুল গজাতে ৫ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত লাগে। আবার কারো কারো শারীরিক ভিটামিনের ঘাটতি না থাকায় তাড়াতাড়ি চুল গজিয়ে যায় ।


 অনেকের ২ বা ৩ দিনের মধ্যে চুলের মাথা দেখা যায়। আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করলে দেখবেন অনেকের মাথার চুল ভরাট একদম কুচ্কুচে কালো চুল। এই সব হচ্ছে প্রোটিনের কারণে আপনার শরীরে প্রোটিনের পরিমান যথেষ্ঠ থাকলে চুলের ঘনত্বের সমস্যা দেখা যায় না । 

আপনার জন্যেঃ শবে কদর সম্পর্কে হাদিস

বারবার মাথা ন্যাড়া করলে চুল কি ঘন হয়

এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। তাই বার বার মাথার ন্যাড়া করলে চুল কি ঘন হয় এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ আমাদের এই মানব শরীর বংশগত জিনের উপর নির্ভর করে তৈরী হয় । 

অনেকের দেখবেন কম বয়সে চুল খুব ঘন ঘন বলে মনে হয়। আসলে কিন্তু তা নয়, একটু বয়স হলেই দেখবেন অকালে তার চুল ঝরে পড়ে গেছে। এইগুলি হচ্ছে বংশগত জিনের কারণে ।


অনেকের মধ্যে আবার বেশি বয়স হলেও কিন্তু চুলের ঘনত্ব কমে না। এইগুলি সব হলো শরীরের প্রোটিনের অভাব না থাকার কারণে এবং বংশগত ত্রুটি না থাকার কারণে। তাছাড়া বারবার মাথা ন্যাড়া করলে চুল ঘন হয় না ।  

শেষ কথা মাথা ন্যাড়া করার সমস্যা নিয়ে 

আমাদের এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে যে মাথা ন্যাড়া করলে চুলের ঘনত্ব এবং নতুন চুল গজাবে। মাথা ন্যাড়া করার উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। তবে উপকারিতার চেয়ে অপকারিতাই বেশি বলে মনে হয়েছে। তাই বার বার না করে উপরোক্ত মাথার চুলের যত্নের বিষয় গুলি মেনে চলুন তাহলে আরো সুন্দর হবে আপনার মাথার চুল ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪