গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে এবং গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক কত

গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে


সূচীপত্রঃগর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে । গর্ভাবস্থায় রক্তের যোগান খুবই প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। যা পর্যাপ্ত এবং প্রয়োজনীয় পরিমানে খাবারের মাধ্যমে পাওয়া যায়। রক্তে হিমোগ্লোবিনের ভূমিকা অপরিসীম। তাই আজকে আমাদের আলোচনা হচ্ছে গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে। 


এর সাথে আরো আলোচনা হবে, গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়, গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক কত,গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণ, গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ, গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় এবং গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কি মাছ খেলে বৃদ্ধি পাই এই সব তথ্য নিয়ে আজকের আয়োজন। আশা করি গর্ভবস্থায় কি কি খাবারের মাধ্যমে হিমোগ্লোবিনের যোগান হয় সেই কথা জানতে পারবেন।

রক্তের হিমোগ্লোবিন কি 


গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে এই সম্পর্কে এগিয়ে যাওয়ার আগে আমরা হিমোগ্লোবিন কি সেটা একটু জেনে আসি। মানুষের শরীরের রক্তের মধ্যে তিনটি উপাদান থাকে, যা লোহিত রক্ত কণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং অনুচক্রিকা। 


এই হিমোগ্লোবিন হচ্ছে লোহিত রক্ত কণিকার একটি প্রোটিন যাকে অ্যামিনো অ্যাসিড ও বলে থাকে। এটির প্রধান কাজ হচ্ছে শরীরের বিভিন্ন টিস্যু ও অংগগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ করা এবং কার্বনডাইক্সাইড কে ফুসফুসে ফিরিয়ে আনার জন্যে সাহায্য করে থাকে।  

গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়


গর্ভবস্থায় অনেকের মধ্যে সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তার মধ্যে হিমোগ্লোবিনের সমস্যা একটি বিশেষ অবস্থা বহন করে। কারণ এই সময় শরীরের মধ্যে অক্সিজেনের ঘটতি দেখা দিলে অনেক রকম জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়। তাই গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় সেটি জেনে রাখা খুবই প্রয়োজন এবং সাথে গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে সেটিও জানা খুবই দরকার। 


স্বাভাবিক ভাবে পুরুষ এবং নারী উভয়ের মধ্যে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কিছুটা  ব্যবধান রয়েছে। তারমধ্যে পুরুষের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা হচ্ছে প্রতি ডেসি লিটারে ১৩.৫ থেকে ১৭.৫ গ্রাম পর্যন্ত। বিপরীত ভাবে একজন নারীর মধ্যে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা হচ্ছে প্রতি ডেসি লিটারে ১২-১৫.৫ থেকে ১৬ গ্রাম পর্যন্ত। 


তবে স্বাভাবিক এর চেয়ে একজন নারীর যদি ১১ গ্রামের নিচে নেমে যায় তাহলে তাকে এনিমিয়া বা রক্ত শূন্যতা বলে থাকে। এবং এই সময় হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির জন্যে নানা রকম ফল এবং খাবার খাওয়ানোর খুব প্রয়োজন পড়ে। 


কিন্তু গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন ৭ থেকে ৮ গ্রাম হলে রক্ত দিতে হয় এবং রক্ত দেওয়া বাধ্যতামূলক। তা না হলে গর্ভবস্থায় নারীর যেমন সমস্যা তেমন অনাগত বাচ্চার ও ঝুঁকি থাকে এবং বিপদজনক অবস্থার সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 

গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক কত


যদিও গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আমরা অনেকটা এগিয়ে গিয়েছি। গর্ভাবস্থায় একজন নারীর খুবই পরিচর্যার দরকার হয় কারণ সেই সময় এখই মায়ের শরীর থেকে বাচ্চার ও আহারের যোগান হয়। গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক হচ্ছে ১২-১৬ গ্রাম/ ডেসিলিটার। 


এর চেয়ে কম হলে অস্বাভাবিক হয়। এনিমিয়া বা রক্তশূন্যতার সৃষ্টি হয় যা অনাগত সন্তানের জন্যে ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এনিমিয়া বা রক্ত শূন্যতা দেখা দিলে তার পর্যাপ্ত পরিমান খাবারের মাধ্যমে যোগান দেওয়া যায়। আমরা সেই বিষয়ে আরো গভীরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো।   

গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণ


গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে এই শিরোনামের উপর ভিত্তি করে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে আমরা এখন এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো। বিভিন্ন কারণে হিমোগ্লোবিন কমে যায় এবং এই অবস্থায় নারীর শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটে ।   


গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার মধ্যে অন্যতম এবং মূল কারণসমূহ হলো পুষ্টির ঘাটতি। বিশেষ করে, ভিটামিন বি১২, আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিড অভাব গর্ভবতী নারীদের রক্তশূন্যতার অবস্থানে নিয়ে যায়। 


তাছাড়া বারবার গর্ভধারণের কারণে শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি সঞ্চয় করতে ব্যর্থ হয়, যা হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার আরেকটি কারণ। থাইরয়েড সমস্যা, কিডনির সমস্যা, দীর্ঘমেয়াদি কোনো রোগ, অতিরিক্ত বমি, এবং ডায়রিয়ার মত সমস্যা থাকলেও গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। 

গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ


গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে এই কথা আলোচনা করার পূর্বে আমরা গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের যাবতীয় সমস্যা গুলি সম্পর্কে এমনকি গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ সমূহ নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করবো। নিচে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ নিয়ে তালিকা আকারে বলার চেষ্টা করেছি। 


  • গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণের মধ্যে অস্বাভাবিক ক্লান্তি ও দুর্বলতা। একজন গর্ভবতী নারী অতিরিক্ত ক্লান্ত এবং দুর্বলতা বা শক্তিহীন অনুভব করতে পারেন, যা নিত্যদিনের কাজের বাধা সৃষ্টি করে।  
  • শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা দেখা দেয় যা খুবই বিপদজনক একটি অবস্থার সম্মুখীন হতে পারে। খুবই কম পরিশ্রমের মধ্যেও শ্বাসকষ্ট অনুভব করবে যা শরীরের অক্সিজেন কমে যাওয়ার কারণে দেখা দেয়।   
  • গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়ার মত লক্ষণ দেখা দেয় যা, হিমোগ্লোবিনের অভাবে হৃদযন্ত্রকে বেশি কাজ করতে হয় বলে হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়।  
  • হিমোগ্লোবিন কমে গেলে অক্সিজেনের অভাবে ত্বকের ফ্যাকাশে ভাবের মত লক্ষণ  দেখা দেয়। এমনকি হাতের ও পায়ের নখে ও ফ্যাকাশে দেখা যায়। 
  • অক্সিজেনের সরবরাহ সঠিক পরিমানে হয় না বলে মাথা ঘোরা ও মাথাব্যথা ও হতে পারে। 
  • ঠোঁট ও চোখের পাতায় রং ফ্যাকাশে হয়ে যায় যা রক্ত শূন্যতার কারণে হয়ে থাকে। 
  • মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ততার মত সমস্যা দেখা দেয়। 
  • শরীরের রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে হাত-পা ঠান্ডা অনুভব হয়।  
  • পা ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা ও দেখা দেয় । 
  • চোখ সাদা হয়ে যায় । 

গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয়


গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে চিন্তার বিষয় হয়ে পড়ে কারণ এই সময় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে গর্ববতী মা ও অনাগত সন্তানের জন্যে ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়। তাই উপরে আমরা বলার চেষ্টা করেছি গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণ এবং গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে। 


যদিও আমরা শিরোনামের মূল কথায় অর্থাৎ গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে এই নিয়ে এখনো কথা বলি নি তবে ধীরে ধীরে আপনাদের হিমোগ্লোবিন নিয়ে আমরা মূল কথায় যাব তবে গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় কি সেই বিষয়ে নিচে বলার চেষ্টা করছি। 


গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে করণীয় হিসেবে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই জরুরি কারণ শরীরে আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গভাবস্থায় নারীদের খাবারে আয়রনসমৃদ্ধ খাবার যেমন, ডিম, লাল মাংস, শাকসবজি, ডাল এবং কাজুবাদাম খাওয়ানো খুবই জরুরি। 


ফলিক অ্যাসিডের ভূমিকা ও অত্যাধিক প্রয়োজন গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের অভাব পূরণ করার ক্ষেত্রে। কারণ ফলিক অ্যাসিড রক্তের লোহিত কণিকা তৈরি করে। তবে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়ে কিছু প্রয়োজনীয় ফলিক এসিড সমৃদ্ধ ঔষধ সেবন করতে পারে এবং অবশ্যই ফলিক এসিড যুক্ত খাবার খাওয়া খুবই প্রয়োজন যেমন ডিম্, ব্রোকলি এবং পালং শাক।   


ভিটামিন সি গ্রহণ করা এই সময় খুবই দরকার কারণ ভিটামিন সি আয়রনের শোষণ বাড়ায়। এইজন্যে আমলকি, লেবু এবং কমলার মত খাবার খাওয়া অবশ্যম্বাবী। 

গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কি মাছ খেলে বৃদ্ধি পাই


গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে এই প্রশ্নের সাথে সম্পর্কিত এই টপিকটি যেমন, গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কি মাছ খেলে বৃদ্ধি পাই। আসুন আমরা জানার চেষ্টা করি। 


গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির জন্যে মাছ একটি প্রাকৃতিক পুষ্টিকর খাবারের উৎস যা বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছে পাওয়া যায়। যেমন ভিটামিন বি-১২ ও আয়রন সমৃদ্ধ মাছ হলো সার্ডিন, টুনা এবং স্যামন। 


তাছাড়াও রয়েছে মিঠাপানির মাছ যেমন পাঙ্গাশ, কাতলা ও রুই এর মত মাছগুলিতে আয়রন ও প্রোটিন রয়েছে যা একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে খুবই সহায়ক। 


তবে মাছের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় জানা থাকা দরকার যেমন, যেসব মাছের মধ্যে পারদ রয়েছে সেসব মাছগুলি না খাওয়ায় খুব উত্তম। কারণ এই মাছগুলি খেলে শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। 

গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে


হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে আমরা বিশদ একটি তালিকা দেওয়ার চেষ্টা করবো যেন খুবই সহজে আপনারা খাবার গুলি সম্পর্কে জানতে পারেন। কারণ আমরা উপরে অনেক টপিকের মধ্যে গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে এই কথার উপর ভিত্তি করে অনেক কথা সহজে বলার চেষ্টা করেছি। 


তবে সঠিক খাবার বেচে নেওয়া গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর জন্য খুবই প্রয়োজন।  রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। 


আয়রন সমৃদ্ধ খাবার  

লাল মাংস : গরু বা খাসির মাংস সহজেই হিমোগ্লোবিন বাড়ায়।  

সামুদ্রিক মাছ:সার্ডিন, টুনা, এবং স্যামন। 

মুরগির লিভার: আয়রন এবং ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। 

ডিম: বিশেষ করে কুসুম।  

শিমের দানা: ছোলা,মসুর ডাল এবং কিডনি বিনস।  


ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার  

সবুজ শাকসবজি : পালং শাক, মুলা শাক।  

সিট্রাস ফল : কমলা, লেবু, এবং জাম্বুরা।  

বাঁধাকপি ও ব্রকলি। 


ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার  

টমেটো: সালাদ বা রস হিসেবে।  

আমলকি: হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর।  

বিভিন্ন ধরনের বেরি: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি।  


শস্য ও বাদাম 

গম ও ওটস। 

কাজু, বাদাম এবং কিশমিশ আয়রনের জন্যে খুবই উপকারী ।  

গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে এই নিয়ে শেষ কথা


গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে এই সম্পর্কে আমরা বিশদ আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিনের অভাবে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এই নিয়ে আমরা অনেক কথা উপরে বর্ণনা করেছি। আশা করি যারা এই আর্টিকেল পড়বেন তাদের জন্যে খুবই উপকারী হবে বলে মনে করি এবং অজানাকে জানতে পারবে। 

গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কীভাবে বাড়াবেন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪