কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশী
“কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশী” এই কথা নিয়ে অনেকে অনলাইনে সার্চ করে থাকেন কানাডা যাওয়ার উদ্দেশ্যে । কেননা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে কানাডা যাওয়া সপ্নের হলেও, সপ্ন পূরণ করার জন্যে কানাডা সরকার এখন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিচ্ছেন ।
তাই আজকের নিবন্ধে আমরা কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশী সম্পর্কে আলোচনা করবো। এর সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করবো, কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ফরম, কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত।
আরো থাকছে কানাডা কীভাবে ওয়ার্ক ভিসা হয়, কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেক করার নিয়ম এবং কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেখতে কেমন । আশা করি বিশেষ কিছু জানতে পারবেন তাই সাথেই থাকুন ।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ফরম
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ফরম কোথায় পাওয়া যায় এবং কিভাবে আবেদন করতে হয় এই বিষয় নিয়ে অনেকে রয়েছে সন্দেহে। তাদের আশা পূরণের নিমিত্তে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশী নিবন্ধে আমরা সুন্দর করে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
মনের সন্দেহ যেন দূর হয়ে যায় এবং সহজে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্যে আবেদন করতে পারে।তবে মনে রাখবেন অন্য কারো কথায় প্ররোচিত হয়ে বা ভুল সিদ্বান্তের মাধ্যমে কোথাও আবেদন না করে সরাসরি কানাডার সরকারি Immigration Refugees and Citizenship Canada এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে IRCC .
এই সাইটে গিয়ে আবেদন করুন। আবেদন করার নিয়মগুলি আমরা নিচে ধাপে ধাপে দেয়ার চেষ্টা করলাম।
- IRCC এই লিংকে গিয়ে প্রথমে GCKey একটি একাউন্ট খুলুন এবং অবশ্যই আপনার ইমেইল, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি প্রশ্ন সেভ করে রাখুন যা পরবর্তী প্রবেশ করার জন্যে প্রয়োজন হতে পারে।
- GCKey গিয়ে লগইন করুন এবং start of application ক্লিক করুন এবং Work Permit Visa নির্বাচন করুন এবং আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি সাবমিট করুন।
- সঠিক তথ্য দিন এবং PDF ফর্ম পুরন করুন ।
- আপনার ডকুমেন্ট গুলির মধ্যে রয়েছে পাসপোর্ট কপি অবশ্যই ৬ মাসের মেয়াদ রয়েছে এই অবস্থা, সম্প্রতি তোলা ছবি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, কর্মসংস্থানের প্রমান (যদি থাকে ) ।
- আবেদন ফি পরিশোধ করুন, যা আপনি ক্রেডিট অথবা ডেবিট কার্ড দিয়ে পরিশোধ করতে পারেন । যা বর্তমানে কানাডিয়ান টাকায় ১৫৫ থেকে ৩০০ CAD হতে পারে ।
- সবগুলি কাজ সম্পন্ন হলে বায়োমেট্রিক ইমেইল পাঠাবে যা VFS পদ্ধতির মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন এবং আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট জমা দিন ।
- সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনার ইমেলের মাধ্যমে নোটিস পাঠাবে GCKey একাউন্ট খুলে ভিসা পাওয়ার জন্যে অনুমতি পেলে আপনার পাসপোর্ট জমা করে ভিসা সম্বলিত পাসপোর্ট গ্রহন করে নিন ।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত
কানাডা যেতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত হতে পারে এই নিয়ে অনেকের মনে নানা প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে । কানাডা যাওয়ার জন্যে যারা খুবই আগ্রহী কিন্তু এখনো জানেন না যে, কত টাকা খরচ হতে পারে তাদের জন্যে এই আর্টিকেলটি খুবই জরুরি বলে মনে করি ।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশি এই নিবন্ধে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্যে সরকারিভাবে যেতে চাইলে বাংলাদেশি টাকায় ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে ।
আবার বিভিন্ন এজেন্সীর মাধ্যমে যেতে চাইলে এর খরচ দাঁড়াবে সব মিলিয়ে ৬ লক্ষ টাকা থেকে ১২ বা ১৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত । তবে দালালের মাধ্যমে গেলে সেই খরচ গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকার মত ।
তবে যতাযত ভাবে ভিসা আবেদন খরচ গুলি পরিশোধ করার মাধ্যমে সরকারিভাবে যাওয়ার চেষ্টা করাটা খুবই ভালো মনে করি । হ্যা যাদের মধ্যে অর্থ সামর্থ্য খুবই উন্নত বা ভালো তাদের জন্যে বিশ্বস্থ এজেন্সীর মাধ্যমে যেতে পারেন । তবে সবাইকে সরকারিভাবে চেষ্টা করাটা বেশি দরকার কারন এতে করে খরচ ও কম এবং যাওয়ার নিশ্চয়তা ও বেশি ।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কীভাবে হয়
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যারা যাওয়ার আগ্রহ ইতিমধ্যে করে ফেলেছেন তাদের জন্যে এই বার্তাগুলি জানা অত্যন্ত জরুরি । অনেকে সাধারন প্রশ্ন করেই থাকেন যে, কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে হয় ।
তবে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশী এই টাইটেল গুগলে সার্চ করে যারা আমাদের এতদুর পর্যন্ত এসেছেন তাদের জন্যে আমি মনে করবো অনেক অজানা তথ্য এই আর্টিকেলে পেয়ে যাবেন ।
তাহলে আসল কথায় আসি । কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে হয় এটি হচ্ছে কথা । কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে অবশ্যই একজন কানাডিয়ান নাগরিকের কাজ থেকে জব অফার আপনার কাছে আসতে হবে ।
কানাডিয়ান শ্রম বাজারের চাহিদা পুরন করেই জব অফারটি হতে হবে যা LMIA মাধ্যেম যাছাই হয়ে আসবে । এবার আপনাকে কানাডার সরকারি ওয়েবসাইটে এই লিংকে গিয়ে আবেদন করতে হবে যা।
আবেদন করার সাথে নিজের প্রয়জনীয় তথ্য উপাত্ত সাবমিট করে আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে । তবে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কাজের অভিজ্ঞতার কাগজ পত্র সাবমিট করুন ।
এরপর যদি আপনার ইমেইল আসে যে আপনি সাক্ষাতের সময় পেয়েছেন এবং আপনার পাসপোর্ট জমা দিয়ে কানাডিয়ান ভিসার জন্যে অপেক্ষা করুন । যদি সব কিছু ঠিক ঠাক থাকে তাহলে কানাডিয়ান ভিসা সম্বলিত আপনার পাসপোর্ট গ্রহন করুন । কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেক কিভাবে করে
এটি বহুল প্রচলিত একটি প্রশ্ন যা প্রায় মানুষ কানাডা যাওয়ার জন্যে সবকিছু প্রস্তুত এবং ভিসা এসেছে কিন্তু কোথায় এবং কিভাবে চেক করবো কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা । এই অবস্থা তখন তৈরী হয় যখন বিভিন্ন এজেন্সী থেকে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রার্থীরা কিনে নেন বা চুক্তি করে থাকেন ।
যখন ভিসা এসে যায় কিন্তু আপনি বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, এটি কানাডিয়ান ভিসা । হ্যা এই বিষয়ে আমরা খুবই সহজে বলার চেষ্টা করবো কিভাবে কোন দালালের চক্রে না পড়ে আপনি নিজেই কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেক করতে পারেন ।
দুই মাধ্যমে আপনি চাইলে কানাডিয়ান ভিসা চেক করে নিতে পারবেন একটি হচ্ছে কানাডিয়ান নিজস্ব ওয়েবসাইটে IRCC তে । আরেকটি হচ্ছে VFS Global মাধ্যমে ।
IRCC তে গিয়ে আপনার Chack Your Application Status ক্লিক করুন এবং লগিন করে আপনার ভিসার বর্তমান অবস্থা দেখতে পাবেন । আবার আপনি চাইলে VFS Global এর মাধ্যমে ও আপনার ভিসা চেক করতে পারেন ।
VFS Global এ গিয়ে আপনার Track Your Application ক্লিক করুন এবং ট্রেকিং আইডি নং দিন এবং জন্ম তারিখ দিয়ে আপনার ভিসার অবস্থা দেখতে পারবেন । তবে VFS Global থেকে যদি আপনি আবেদন করে থাকেন ।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেখতে কেমন
কানাডিয়ান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেখতে কেমন হয় এই কিউরিসিটি প্রায় সব কানাডা যাওয়ার মানুষের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় । আবার যারা যাওয়ার জন্যে খুবই আগ্রহী তাদের মধ্যে একই ইচ্ছে প্রকাশ পাই ।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেখতে সাধারনত স্ট্যাম্প ভিসার মত । প্রত্যেক পাসপোর্টের সাথে লাগানো ভিসার মতই হয়ে থাকে । এতে যার নামে ভিসা হয়েছে তার নাম, জন্ম তারিখ এবং ব্যক্তিগত বিবরন থাকে । কাজের নিয়োগকর্তার বিবরন দেওয়া থাকে । ভিসার মেয়াদ দেওয়া থাকে ।
কাজের ধরন এবং কোথায় কাজ করবে তার বিবরন থাকে । কিছু প্রয়োজনীয় শর্তাবলী ও থাকে । তবে নিচে আমরা ছবি দেওয়ার চেষ্টা করছি যেন দেখে সহজে বুজতে পারেন ।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশী নিয়ে শেষ কথা
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফর বাংলাদেশী নিয়ে আর কথা বলার তেমন কিছু নেই । আমরা মনে করি মানুষের মনের সর্বোচ্চ জিজ্ঞাসিত তথ্যগুলি তুলে ধরেছি । এবং অনেকের নানা প্রশ্নের উত্তর এই আর্টিকেল থেকেই পেয়ে যাবেন ।
তাই আমাদের পরামর্শ হচ্ছে নিজে কানাডিয়ান ওয়েবসাইট IRCC তে গিয়ে নিজেই আবেদন করুন । যদি রিজেক্ট হয়ে যান তাহলে বিভিন্ন বিশ্বস্থ এজেন্সীর সাথে চুক্তির মাধ্যমে যেতে পারেন তবে দালালির খপ্পর থেকে বিরত থাকুন ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url