মনের কুচিন্তা দূর করার উপায় । একটি বাস্তবসম্মত দিকনির্দেশনা
সূচীপত্রঃমনের কুচিন্তা দূর করার উপায়। আমরা সর্বদা শান্তিতে থাকতে চাই। আর শান্তি হচ্ছে আমাদের মনের মধ্যে। কিন্তু মন সর্বদা কুচিন্তায় ডুবে থাকে। যার দরুন মানুষের মধ্যে চলতে থাকে অশান্তি। এই কারণে প্রায় ঘরে ঘরে চলতে থাকে ঝগড়া বিবাদ এমনকি মারামারি হানাহানি পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাই আমরা আজকে মনের কুচিন্তা দূর করার উপায় সম্পর্কে কথা বলার চেষ্টা করবো।
সাথে আরো থাকছে কুচিন্তা কী এবং কেন এটি আমাদের মন ও শরীরকে প্রভাবিত করে, বর্তমানে কেন মানুষ বেশি কুচিন্তায় ভুগছে (ব্যস্ততা, সামাজিক চাপ, অনিশ্চয়তা), মনের কুচিন্তা দূর করার উপায় কেন জানা জরুরি ,কুচিন্তার সাধারণ লক্ষণ ও মানসিক প্রভাব।
এর সাথে থাকবে, মনের কুচিন্তা দূর করার উপায়: বাস্তব অভ্যাস গড়ার কৌশল, কুচিন্তা দূর করতে ইতিবাচক চিন্তার শক্তি ব্যবহার করুন, কুচিন্তা থেকে মুক্তি পেতে জীবনের গতি বদলান, সম্পর্ক ও সহানুভূতি: মনের কুচিন্তা দূর করার সামাজিক উপায় এবং যদি কিছুতেই মনের কুচিন্তা না কমে, তাহলে সম্ভাব্য করণীয় কী? অর্থাৎ আমাদের মধ্যে চেষ্টা থাকবে মানসিক কুচিন্তা থেকে কিভাবে ধীরে ধীরে মুক্তি পেতে পারেন এই নিয়ে থাকছে সম্পুর্ন দিক নির্দেশনা ।
কুচিন্তা কী এবং কেন এটি আমাদের মন ও শরীরকে প্রভাবিত করে
কুচিন্তা মানে হলো খারাপ চিন্তা বা মন্দ চিন্তা যা আমাদের মধ্যে বার বার ফিরে ফিরে আসে কিন্তু কোন সমাধান পাওয়া অনেক কঠিন। আবার অনেক সময় দেখা যায় ভবিষ্যতের চিন্তায় আমরা ব্যস্ত অর্থাৎ মনকে কোন ভাবেই রক্ষা দেয়না এবং সব সময় মনকে অশান্তিতে রাখে তাকেই আমরা কুচিন্তা বলে থাকি।
আর এই সমস্ত চিন্তা মানুষকে ক্রমাগত মানসিক চাপের মধ্যে রাখে, যার ফলোশ্রুতে সর্বদা মন খারাপ থাকা আমাদের মধ্যে একটি স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিণত হয়। শারীরিক দিক দিয়ে চিন্তা করলে এই কুচিন্তার মধ্যে মন ডুবে থাকতে থাকতে আমাদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
মাথা ব্যথা, হার্টের সমস্যা, ঘুমের সমস্যা এমনকি হজমের পর্যন্ত সমস্যা হয়ে যায়। এই কুচিন্তা দীর্ঘদিন থাকতে থাকতে আমাদের মানসিক রোগাগ্রস্থ পর্যন্ত করে ফেলে। তাই কুচিন্তা কে দূর করার জন্যে সর্বদা ইতিবাচক দিক বিবেচনা করার চেষ্টা করুন।
বর্তমানে কেন মানুষ বেশি কুচিন্তায় ভুগছে (ব্যস্ততা, সামাজিক চাপ, অনিশ্চয়তা)
আধুনিক বিশ্বে পাশ্চাত্য দেশের মানুষ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তার বিপরীতে বিশেষ করে আমাদের দরিদ্র দেশের মানুষ কুচিন্তায় ডুবে আছে প্রতিদিন। কুচিন্তা যেন নিত্যদিনের সঙ্গীর মত হয়ে উঠেছে। সমাজের নানা প্রত্যাশা পূরণের দাবিতে এবং বিভিন্ন কাজের চাপে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
নিত্যদিনের পরিবারের আশা পূরণ করা এবং কাজের চাপের জন্যে এক প্রকার নিজের কথায় ভুলেই যাচ্ছি। আর্থিক চিন্তা, পরিবারের চিন্তা এবং ক্যারিয়ার উন্নতির জন্যে দৌড়াদৌড়ি, সব মিলিয়ে আমরা একটা যন্ত্রের মত হয়ে গেছি। কোথায় কোন প্রশান্তির ছোয়া পাচ্ছি না।
এরসাথে রয়েছে সামাজিক চাপ। কিভাবে অন্যদের জীবের উন্নতি দেখে নিজেকে ছোট বা হীনমন্যতায় ভুগছি, এবং এর সাথে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে প্রমান করার চেষ্টা। এই সবকিছু যে আমাদের কে ভিতর থেকে দুর্বল করে দিচ্ছে।
সবকিছুর মধ্যে আরো বড় সমস্যা হলো অনিশ্চয়তা। এইভাবে ভবিষ্যত কিভাবে পার করবো এবং মনের আশা পূরণ হবে তো ? এই দুশ্চিন্তা আমাদের মনকে সর্বদা একটা প্রেশারের মধ্যে রাখে অবিরাম।
এই সব কিছু নিয়ে দিনে দিনে মানুষ আরো বেশি কুচিন্তায় পড়ে যাচ্ছে বা ভুকছে। তবে এই সব কিছুর মধ্যে নিজেকে নিয়ে একটু ভাবার দরকার এবং নিজের প্রতি যত্ন নেওয়া দরকার একদম কিছু সময় হলেও দায়মুক্ত থাকার চেষ্টা করা খুবই দরকার।
আধুনিক জীবনে কুচিন্তার পরিমাণ কেন বেড়ে যাচ্ছে
যদিও আধুনিক বিশ্ব আমাদেরকে এক অপার সম্ভাবনার আলো দেখিয়েছে কিন্তু এর পিছনে নিজেকে আরো বেড়েছে কুচিন্তার মাত্রা। আধুনিক প্ৰযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রার মান সহজ করলেও একটি মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে রেখেছে।
মানসিক দুশ্চিন্তার মধ্যে কেন রেখেছে সেটি একটু বলার চেষ্টা করি। আমাদের আগেকার জীবন ছিল খুবই সহজ সরল এবং সাদামাঠা। তার বিপরীতে দেখা যাচ্ছে মানুষ এখন শুধু প্রতিযোগিতা নিয়েই চলতে শিখে।
ছোট্ট বাচ্চাকেও মা অপরের সন্তান কিভাবে মানুষ হচ্ছে সেই দিকে লক্ষ্য রেখে আরো বড় হওয়ার জন্যে বা তার চেয়ে আরো ভালো কিছু করার জন্যে প্রতিযোগিতায় নামিয়ে দিয়েছে। যা ছোট্ট থেকেই কুচিন্তায় ডুবিয়ে দিয়েছে।
তার উপর ক্যারিয়ার গড়ার জন্যে বা অন্যকে ছাড়িয়ে কিভাবে নিজেকে প্রতিষ্টিত করবো সেই দুশ্চন্তা। এইসব কিছু মাথায় রাখতে রাখতে আমরা যে একটি চাপের মধ্যে দিয়ে জীবন পরিচালিত করছি। যার ফলে মনের মধ্যে তৈরি হচ্ছে অস্থিরতা।
এরমধ্যে দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার পরিবেশ। যা একজন আরেকজনকে প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কে কোথায়, কখন এবং কিভাবে নিজেকে প্রকাশ করছে আমাদের মধ্যে তাদের চেয়ে আরো উন্নত জীবন যাপন করার মানসিকতায় আমাদের হতাশায় ডুবিয়ে দিচ্ছে সাথে কুচিন্তায় ফেলে রেখেছে।
যখন মনে হয় যে নিজের অর্জনগুলি মনে হয় খুবই তুচ্ছ। একটু নজর দিলেই বুজতে পারবেন জীবনের প্রতি, যে আমরা আমাদের দৈর্য্যের প্রান্ত থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। নিজেকে সময় দিচ্ছি না। যার ফলে মনের মধ্যে নেতিবাচক কিছু চিন্তা উৎস হয়ে দাঁড়ায়।
তাই বলবো আধুনিক জীবনে এই প্রতিযোগিতা থেকে বের হয়ে এসে একটু নিজেকে জানুন। মানসিক শান্তিতে রাখুন।
কুচিন্তার সাধারণ লক্ষণ ও মানসিক প্রভাব
একজন মানুষ পরিপূর্ণতা নষ্ট করে কুচিন্তা বা নেতিবাচক চিন্তা শক্তির কারণে। এই কুচিন্তা একজন সুস্থ মানুষকে ধীরে ধীরে ক্ষয় করে দেয়। যা সহজে আমরা বুজতে পারিনা। কিন্তু কিছু সাধারণ লক্ষণের দ্বারা আমরা সহজে বুজতে পারি। চলুন তাহলে আমরা একটু জানার চেষ্টা করি কুচিন্তার সাধারণ লক্ষণ ও মানসিক প্রভাবগুলি কি।
মনের ভারাক্রান্ততা, দুশ্চিন্তা ও ভয়
যদিও আমরা এই আর্টিকেলটি শুরু করেছিলাম মনের কুচিন্তা দূর করার উপায় দিয়ে। কিন্তু আগে আমরা মনের কুচিন্তার ফলে কি কি হতে পারে সেটি একটু পরক করে দেখি। কুচিন্তার ফলে মনের ভারাক্রান্ততা, দুশ্চিন্তা ও ভয় তৈরি হয়। যেমন আমরা যখন বিভিন্ন দুশ্চিন্তায় ডুবে থাকি তখন মনের মধ্যে একটি ভার ভার অনুভব হয় থাকে।
কোন খুশির খবর পেলেও আমরা নিজে খুশি হওয়ার অনুভবটা পাই না। এত আনন্দ থাকতে ও নিজেকে একা বলে মনে হয় এবং সাথে খুবই নিরানন্দ লাগে। তাহলে মনে করবেন আপনার মনের মধ্যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তাই এই দুশ্চিন্তা যখন ভয়ে রূপ নেবে তখন আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে অনেকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলবে।
ঘুম না হওয়া, কাজের প্রতি অনাগ্রহ
মনের কুচিন্তার সাধারণ লক্ষণ ও মানসিক প্রভাব এর মধ্যে আরেকটি খুবই চেনা-জানা লক্ষণ হলো ঘুম না হওয়া এবং কাজের প্রতি অনাগ্রহ। আপনার মধ্যে যখন কুচিন্তা ভর করবে তখন দেখবেন আপনার চোখ থেকে ঘুম কমে যাচ্ছে। সহজে ঘুম আসার নাম গন্ধ থাকছে না।
ঘুমানোর জন্যে যখন যাবেন তখন আপনার মাথা থেকে এই দুশ্চিন্তা বা কুচিন্তা কোনভাবেই দূর করতে পারছেন না। কেমন জানি জীবন অসার হয়ে আসছে। আর ঘুম না হওয়ার ফলে আপনার পরের দিনের কাজে কোন আগ্রহ বাড়ছে না। দিন দিন কাজের প্রতি অনাগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে।
আপনার সবচেয়ে প্রিয় কাজগুলির মধ্যে ও আর আগের মত কোন আনন্দ খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই দিনে দিনে আরো গভীর খাদে পড়ার চেয়ে এই লক্ষণগুলি পরিলক্ষিত হলেই অবেহেলা না করেই সুন্দর ব্যবস্থা গ্রহণ করার দরকার। আর তা না যদি না করেন তাহলে একসময় গিয়ে আপনার জীবনের প্রতি দারুন পরিণয় এসে দাঁড়াবে।
মনের কুচিন্তা দূর করার উপায়: বাস্তব অভ্যাস গড়ার কৌশল
অনেক্ষন ধরে আমরা মনের কুচিন্তা কিভাবে সৃষ্টি হয়, এবং কুচিন্তার ফলে কি হতে পারে সেই সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এইবার আমরা মনের কুচিন্তা দূর করার উপায় এবং বাস্তব অভ্যাস গড়ার কৌশল নিয়ে বলার চেষ্টা করবো। কারণ সমস্যা শুরু হয়ে গেছে কিন্তু সমাধান যদি না পাই তাহলে আমার পাঠক বন্ধুদের মনের শান্তি হবে না।
তাহলে চলুন এগিয়ে যাওয়া যাক। মনে রাখবেন মনের কুচিন্তা দূর করতে হলে আমাদের মনের নেগেটিভ চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। নিচের মাধ্যম গুলির দ্বারা আপনার মনের কুচিন্তা দূর হয়ে প্রশান্তি বিরাজ করবে বলে আমাদে বিশ্বাস।
ধ্যান ও শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ (Breathing Techniques)
মানসিক চাপ কমানোর উপায়ের মধ্যে ধ্যান ও শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের উপায়টি খুবই প্রসিদ্ব এবং জনপ্রিয়। আপনি চাইলে প্রতিদিন ধ্যান করার অভ্যাস করলে এবং ঘুম থেকে উঠে ১০ মিনিট শ্বাস-প্রশ্বাস কে ধীরে ধীরে পরিচালনা করার মাধ্যমে মনের কুচিন্তা দূর করতে পারবেন।
ধ্যান করার নিয়ম
প্রতিদিন যে কোন এক সময়ে ১ থেকে ১০ মিনিট অথবা ২০ মিনিট চোখ বন্ধ করে বসে থাকার অভ্যাসের মাধ্যমে ধ্যান করতে পারেন।
শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রন এর নিয়ম
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে খুব ধীরে ধীরে শ্বাস গ্রহণ করা এবং ধীরে ধীরে প্রশ্বাস ত্যাগ করার মাধ্যমে অভ্যাস গঠন করলে দুশ্চিন্তা অনেক কমে যাবে।
৪ স্যানেন্ড শ্বাস নিন
৪ স্যাকেন্ড ধরে রাখুন
৪ স্যাকেন্ড প্রশ্বাস ছাড়ুন
নিয়মিত শরীরচর্চা ও ঘুমের গুরুত্ব
মনের কুচিন্তা দূর করার উপায় হিসেবে নিয়মিত শরীরচর্চা ও ঘুমের গুরুত্ব একটি ভালো দিক। এটি শুধু শরীরকে ভালো রাখে না মনকেও খুব চাঙ্গা করে তোলে। প্রতিদিন দৌড়ানো, হাঁটা এবং হালকা ব্যায়াম করতে পারেন অন্তত ৩০ মিনিট।
এর শারীরিক ব্যায়াম কে যখন নিয়মিত করবেন তখন ঘুম ও ভালো ভাবে হবে এবং কুচিন্তা সহজে দূর হয়ে যাবে। কারণ নিয়মিত শরীরচর্চা ও ঘুম কুচিন্তা দূর করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কুচিন্তা দূর করতে ইতিবাচক চিন্তার শক্তি ব্যবহার করুন
মনের কুচিন্তা দূর করার জন্যে সহজ মাধ্যমে আমাদের মধ্যে নিহিত রয়েছে কিন্তু আমরা তা ভালো করে বুজতে পারি না। ইতিবাচক চিন্তার শক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা চাইলে মনের গতিকে অনেক উর্ধে নিয়ে যেতে পারি। নেতিবাচক চিন্তা আমাদের কে অনেক তলানিতে নিয়ে যায়। পরোক্ষভাবে ইতিবাচক চিন্তা আমাদের মনে অনেক সাহস ও সবল করে তুলে।
প্রতিদিন আপনি যা পেয়েছেন তার জন্যে প্রথমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। যা পান নি সেটা বাদ দিন। ভালো বন্ধুর সাথে চলতে গিয়ে কি শিখেছেন সেটি একটি খাতায় লিপিবদ্ধ করুন। এটি আপনার মনকে অনেক শান্তি দিবে এবং খুব সহজে কুচিন্তা কেটে যাবে।
আপনার পরিবারের কাছে কি পেয়েছেন ভালো বিষয় সেগুলি একটু চিন্তা করুন। এইভাবে নিজেকে কৃতজ্ঞ করুন এতে করে দুশ্চিন্তা অনেকটা কেটে যাবে। নিজের দুঃখের কথা গুলি পরিবারের কাছে শেয়ার করুন। আর নিজের মনকে প্রশান্তি দিন।
প্রতিদিন যেখানে জান নিজেকে আবিষ্কার করুন। নিজে নিজের সুস্থতাকে মনে করে নিজেকে নিজে ধন্যবাদ দিন। সাথে নিজেকে নিজে বলার চেষ্টা করুন আমি সব পরিস্থিতিই সামাল দিতে পারবো একাই। আপনার ব্যক্তিগত ভাবে যা পেয়েছেন তা দিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ দিন।
এতে করে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং অনেক কুচিন্তা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন। এইভাবে নিজেকে ইতিবাচক করে তুলুন। দেখবেন এক সময় গিয়ে আপনাকে আর কোন প্রকার কুচিন্তা বা দুশ্চিতা ঘ্রাস করতে পারছে না। এইভাবে অভ্যাস করতে করতে আপনার মন শান্তিতে পরিপূর্ণ হবে এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি হবে।
ইতিবাচক চিন্তার জন্যে এই বইটি পড়তে পারেন ।
কুচিন্তা থেকে মুক্তি পেতে জীবনের গতি বদলান
মনের কুচিন্তা থেকে মুক্তি পেতে জীবনের কিছু গতি আপনি চাইলে বদলাতে পারেন। যা আমাদের চেতনার মধ্যে গুপ্তভাবে রয়ে গেছে। সেগুলি হলো নিজেকে একটু ধীরগতিতে এবং সচেতন ও সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালনা করার অভ্যাস করুন। কারণ এই বিষয়গুলি হলো মানসিক স্বাস্থ্যের এক ধরণের বড় ওষুধ।
প্রতিদিনের কাজগুলি নিয়মিত সময় মত শেষ করুন আর তা না হলে মনের মধ্যে এক অশান্তি এবং অস্থিরতা বিরাজ করবে যা দুশ্চিন্তায় পতিত করে। প্রতিদিনের কাজগুলিকে একটা রুটিনের মধ্যে নিয়ে আসুন।
এতে করে জমে থাকা কাজগুলি আপনাকে মানসিকভাবে পীড়া দেবে না। যা এক ধরণের প্রশান্তি। কারণ সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করার ফলে মনের মধ্যে দুশ্চিন্তা কেটে যায় এবং ভালো লাগা শুরু হয়।
প্রতিদিন আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় দেওয়ার কারণে আমাদের কাছে একটা নেশার মত হয়ে গেছে যা থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই কষ্টকর এবং করতে না পারলে মনের মধ্যে কুচিন্তা ভর করে।
যদি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একটু দূরে থাকা ও প্রতিযোগিতা থেকে বিরত থাকা যায় তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিযোগিতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যা মনের কুচিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে খুবই উপকারী ।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের পরিবর্তে একটু প্রিয় মানুষদের সাথে সময় দেওয়া এবং কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন। জীবনের গতি একটু বদলালেই মন ফিরে পেতে পারে হারানো প্রশান্তি ও স্থিতি।
মনের কুচিন্তা দূর করার উপায় নিয়ে লেখকের শেষ কথা
মনের কুচিন্তা দূর করার উপায় নিয়ে কথা বলার পূর্বে আমরা মনের কুচিন্তার কারণে কি কি প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়েও অনেক কিছু বলেছি। আশা করি এতক্ষন পরিপূর্ণ একটু ভাব আপনারা পেয়েছে মনের কুচিন্তা বা দুশ্চিন্তা সম্পর্কে। তবে মানসিক চাপ সামলানো কঠিন কিছু নয়, চেস্টার মাধ্যমে অবশ্যই সম্ভব ।
তারপর ও বলবো আপনাদে আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট ও ইমেইলের মাধ্যমে আমাদের জানাতে ভুলবেন না পাঠকবন্ধুরা। এতে করে আমাদের আরো তথ্যমূলক বার্তা আনন্দের সহিত বলতে ভালো লাগবে। তবে এই কথায় বলবো, আপনারও কি প্রায়ই কুচিন্তা হয়? কীভাবে আপনি তা সামলান? নিচে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url